আপনি কি একজন কৃষক, অর্গানিকভাবে চাষ করতে চাইছেন বা জৈব চাষ করতে চাইছেন তাহলে আপনার জন্য ভালো সুখবর রয়েছে কারণ সরকার অর্গানিক কৃষক প্রকল্প বা 'Organic krishok prakalp' চালু করতে চলেছে, কৃষকদের চাষের জন্য ৩২ হাজার টাকা থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত সাবসিটি পেতে পারেন আবেদন করার সাথে সাথে, যদি আপনি অর্গানিক বা জৈব চাষ করতে চাইছেন বা কি করে ৩২ হাজার টাকা পাবেন, আবেদন করার পদ্ধতি সম্পূর্ণভাবে এই আর্টিকেলটি জানাব।
Organic krishok prakalp
সরকার কৃষকের কথা মাথায় রেখে কৃষ আমদানি সাথে সাথে অর্গানিকভাবে চাষাবাদ করার জন্য উৎসাহ দিচ্ছে। এর জন্য প্রত্যেক বছর এই অর্গানিক চাষের জন্য অনেক রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে সরকার।
বর্তমান তেমনি একটি প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছে সরকার, যার মাধ্যমে কৃষক রা স্বল্প খরচে রাসায়নিক সার মুক্ত এবং রাসায়নিক কীটনাশক মুক্ত অর্গানিক চাষের কথা বাস্তবায়িত করতে চলেছে।
সরকার কৃষকের নানা রকম প্রকল্প সাথে সাথে নতুন একটি প্রকল্প নিয়ে এসেছে যার নাম কৃষক অর্গানিক প্রকল্প। যার মাধ্যমে প্রত্যেক কিছু পাবে ৩২ থেকে ৫০০০০ টাকা পর্যন্ত সাবসিটি।
জৈব কৃষি প্রকল্প কি?
'organic krishok prakalp' মূলত আপনার চাষাবাদ করার জন্য যে রাসায়নিক সারমুক্ত এবং রাসায়নিক কীটনাশক মুক্ত যে সমস্ত অর্গানিক সার বা অর্গানিক ঔষধ কিভাবে তৈরি করতে হয় তার পদ্ধতি এবং নানান রকম জৈব সার কিভাবে বানাতে হয় তার সমস্ত কিছু তথ্য প্রশিক্ষণ দ্বারা আপনাকে ট্রেনিং দেওয়া হবে। কৃষক অর্গানিক প্রকল্প এর সমস্ত কিছু তথ্য বা আপনারা কোথায় আবেদন করবে কিভাবে টাকা পাবে, তা জানতে পারবে।অর্গানিক কৃষক প্রকল্প আবেদন কিভাবে করবে?
কৃষক অর্গানিক প্রকল্প আবেদন করার জন্য প্রথমে আপনাকে আপনার স্থানীয় কৃষি দপ্তরে গিয়ে নির্দিষ্ট কিছু ডকুমেন্ট দ্বারা ফরম ফিলাপের মাধ্যমে আপনাকে আবেদন করতে হবে। এই আবেদন সম্পূর্ণভাবে অফলাইন হবে যার জন্য আপনাকে কৃষি দপ্তরে যেতে হবে।
অর্গানিক প্রকল্প আবেদে প্রয়োজনীয় নথি কি লাগবে?
অর্গানিক চাষাবাদ প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় নথি হলো- আধার কার্ড এক কপি জেরক্স
- ভোটার কার্ডের এক কপি জেরক্স
- প্রয়োজনীয় ব্যাংকের নথি বাব্যাংকের বইয়ের প্রথম পাতার জেরক্স
- চাষাবাদ জমিন সংক্রান্ত নথি বা সম্প্রতি চাষযুক্ত জমির পর্চা এক কপি জেরক্স
- পাসপোর্ট সাইজের এক কোটি ফটো
অর্গানিক চাষাবাদ প্রকল্পের কারা আবেদন করতে পারবে?
- ভারতের স্থায়ী নাগরিক বা আপনার এলাকার স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।
- জমির মালিকানা নিজেকে হতে হবে।
- আপনার এলাকায় কমসে কম ২০ থেকে ১০০ একর জমি হতে হবে।
- ২০ থেকে ১০০ একর জমি অর্গানিক চাষাবাদ করার জন্য ইচ্ছুক কৃষকদের একত্রিত করতে হবে।
অর্গানিক চাষাবাদ প্রকল্পে কারা আবেদন করতে পারবে না?
- যে সমস্ত ব্যক্তি ভারতের নাগরিক নয়
- নিজস্ব কোন চাষাবাদ জমি নেই এমন ব্যক্তি
- একশ একরের নিচে বা একত্রিত করা কৃষকরা যদি অনিচ্ছুক হয় অর্গানিক চাষ করতে তাহলে আবেদন করতে পারবে না।
- প্রশিক্ষণ ছাড়া চাষাবাদ করতে পারবে না।
অর্গানিক চাষাবাদ প্রকল্প করতে কি ছাড় রয়েছে
- কোল্ড স্টোরেজ করতে আর্থিকভাবে সহায়তা দেওয়া বা স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া বা সাপ সিটি যুক্ত অর্থ প্রদান করা।
- প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট খুলতে
- গুদাম তৈরি করার জন্য সাবসিটি যুক্ত ঋণ দেওয়া হবে
- ভর্তুকি যুক্ত জৈব সার , বায়ো পেস্টিসাইড, ভার্মি কম্পোস্ট তৈরি করার জন্য আর্থিকভাবে সহায়তা পাবে।
- জৈব সার থেকে শুরু করে কৃষিকাজ যুক্ত সমস্ত প্রোডাক্টে কুড়ি থেকে ৪০% পর্যন্ত ছাড় পেতে পারেন।
অর্গানিক চাষ প্রকল্প পরিবেশের উপর প্রভাব?
পশ্চিমবঙ্গ জৈব চাষের জন্য বা অর্গানিক চাষাবাদ করার জন্য আর্থিক সুরক্ষার থেকে শুরু করে জৈব প্রসারের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর্থিক সরকার পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষা, কৃষকদের সচেনতা, পরিবেশ রক্ষা, জৈব চাষের বৃদ্ধি ও চাষের বিপ্লব আনতে পারে।জৈব চাষে আয় বাড়ানো বা অর্গানিক চাষে আয় বাড়ানো। ভবিষ্যৎ প্রজন্মে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ।
আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন যদি আপনার এই আর্টিকেলটি পছন্দ হয় তাহলে একটি লাইক ও কমেন্টের মাধ্যমে জানতে পারেন।
ConversionConversion EmoticonEmoticon