আপনারা নিশ্চয়ই জানেন Krishak Bandhu List cheque পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের জন্য কৃষক বন্ধু প্রকল্প শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। কৃষক বন্ধু 2020 এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য গরিব চাষিদের জন্য আর্থিক সাহায্য করার। যে সমস্ত গরিব চাষীরা পয়সার অভাবে ঠিক ভাবে চাষ করতে পারেনা তাদের প্রত্যেক বছর দুই কিস্তিতে 2500 টাকা করে দুইবার দেওয়া হবে এবং বীমা স্বরূপ কোন কৃষকের মৃত্যু হলে 2 লাখ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হবে। Krishak Bandhu form Fillup করতে পারেন
কৃষক বন্ধু প্রকল্প ফরম ফিলাপ
কৃষক বন্ধু প্রকল্প ফরম ফিলাপ পদ্ধতি
আপনার কাছে যে ফরমটি থাকবে তার উপরে লেখা থাকবে বড় অক্ষরের পশ্চিমবঙ্গ সরকার কৃষি বিভাগ। এই লিখার সাইডে খালি জায়গায় লেখা থাকবে আবেদনপত্রের নম্বর। Krishak Bandhu form fillup
এই জায়গায় বলিতে সাধারণত আপনাকে কিছু করতে হবে না। সেই জায়গাগুলিতে আপনাকে ফরম ফিলাপ করতে হবে সেটা স্টেপ বাই স্টেপ আপনাকে নিচে দেওয়া হবে। Krishak Bandhu Death Benefit form in Bengali সুবিধার্থে একটি ফোনে স্ক্রিনশট দোয়া রয়েছে আপনারা ফলো করতে পারেন।
- এক নম্বরে যেটা রয়েছে যে ব্যাক্তি আবেদন করছেন সেই ব্যক্তির পুরো নাম বাংলাতে লিখতে হবে।
- আবেদনকারীর পিতার নাম বা স্বামীর নাম লিখতে হবে।
- যিনি আবেদন করছেন তার জন্মতারিখ ফাঁকা জায়গায় গুলো রয়েছে, যে ওইগুলো বসাতে হবে। এমনভাবে বসাবে যাতে বুঝতে সুবিধা হয়।
- আপনি পুরুষ কি মহিলা বা অন্যান্য কিছু যদি হয়ে থাকে ছোট ছোট বক্সে যে রয়েছে আপনি যদি স্ত্রী হন স্ত্রী বক্স টিক চিহ্ন দিবে এবং পুরুষে পুরুষে জায়গায় ঠিক মার্ক দেবেন।
- এই জায়গাতে কৃষকের ধরন দিতে হবে। যদি আপনি ভাগচাষী হন তাহলে ভাগচাষীবক্সের টিক চিহ্ন মারবেন। যদি আপনার নিজের জায়গা হয় তাহলে মালিক আনায় টিক মারবেন।
- আবেদনকারীর মোবাইল নাম্বার সঠিকভাবে দেবেন। যে মোবাইলটি সচরাচর ব্যবহার করেন সেই মোবাইল নাম্বারটি অবশ্যই দিবেন। এই মোবাইল নাম্বারটি সাহায্যে আপনারা আপডেট পেতে থাকবেন কবে আপনার পয়সা অ্যাকাউন্ট এ আসবে এবং নানা রকম তথ্য মোবাইল মাধ্যমে পেতে পারেন তাই মোবাইল নাম্বারটা সঠিক দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
- আপনার যদি কেসিসি থাকে তাহলে হাঁ বক্সে টিক চিহ্ন মারবেন না থাকলে না তে টিক মারবেন। যদি আপনার কি হয়েছে থাকে তাহলে কেসিসি একাউন্টের নাম্বার টি আপনারা ফাঁকা জায়গা টি ফিলাপ করবেন।
- কৃষি জমির তথ্য আবেদনকারীর সাম্প্রতিক পর্চা নিজের স্বাক্ষরযুক্ত ফটোকপি বাধ্যতামূলক দিতে হবে। নিচের বিবরণ গুলি ফলো করে সম্পূর্ণ সঠিক ভাবে আপনাকে ফিলাপ করতে হবে। যেমন প্রথমে যেটা রয়েছে আপনার ব্লগ, মৌজা, জে এল নাম্বার, খতিয়ান নাম্বার,প্লট নম্বর এবং জমির পরিমাণ সঠিকভাবে পূরণ করবে।
কৃষক বন্ধু যোজনা ব্যাংক তথ্য
কৃষক বন্ধু ফর্ম ফিলাপ করার সময় ব্যাংক তথ্যটি অত্যন্ত দরকার রয়েছে। এই ব্যাংক তথ্যটি আপনাকে সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। এই তথ্যগুলি পূরণ করার শেষে আরও একবার করে দেখে নেবেন যাতে কোন কোথাও ভুল না হয়ে যায়। Krishak Bandhu Yojana।
- প্রথমে অ্যাকাউন্ট নাম্বার টা দিবেন।
- আপনার ব্যাংকের আইএফসি কোড দিবেন।
- যে ব্যাংকের আপনার অ্যাকাউন্ট রয়েছে সেই ব্যাংক এর নাম।
- আপনার ব্যাংকটি ব্রাঞ্চ নামটি অবশ্যই দিবেন।
- আপনার ব্যাংকের অ্যাকাউন্টটি সেভিং কারেন্ট বা কেসিসি বক্সে গিয়ে টিক চিহ্ন দিন।
- তার নিচে রয়েছে আপনি যাবে ফরমটি জমা দেবেন সেই দিনের তারিক অবশ্যই দিবেন এবং তার সাইটে আবেদনকারীর স্বাক্ষর টিপসই অবশ্যই দিতে হবে।
কৃষক বন্ধু প্রকল্প কি ডকুমেন্ট লাগে
এই প্রকল্পের ফরম ফিলাপ করার পর অনেকগুলো ডকুমেন্ট সাবমিট করতে হয়। এই ডকুমেন্টগুলো ভেরিফিকেশনের জন্য অত্যন্ত দরকার রয়েছে। সাবমিট করার আগে আপনাকে অরিজিনাল ডকুমেন্ট একটা করে জেরক্স করে ফরমের সঙ্গে লাগিয়ে আপনাকে রেডি রাখতে হবে।
- ভোটের কার্ড এর এক কপি জেরক্স লাগবে।
- আধার কার্ডের জেরক্স এক কপি লাগবে।
- আপনার নিজের নামের ব্যাংক একাউন্টের পাসবুক এর সামনের পেজটিতে যার মধ্যে অ্যাকাউন্ট নাম্বার, আপনার নাম নানান রকম তথ্য রয়েছে তারেক কপি জেরক্স লাগবে।
- আপনার কৃষি জমিনের সাম্প্রতিক পর্চা জেরক্স লাগবে। এই পর্চার মধ্যে সরকারি স্ট্যাম্প এবং বি এল আর অফিসারের স্বাক্ষর যুক্ত এক কপি জেরক্স লাগবে।
- কৃষি জায়গার যতটুকু রয়েছে সেই জায়গার অঞ্চর টেক্সট বা খাজনা একখানা রশিদ লাগবে। এই খাজনার রশিদ সাম্প্রতিক বছরের হতে হবে।
- আবেদনকারীর এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ফটো লাগবে। এই ফটো লাগাতে হবে আপনার ফর্ম এর ডান সাইডে কনে।
এইসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি আপনার ফর্ম এর সঙ্গে লাগিয়ে একটা পিন করে নিবেন যাতে কাগজগুলি এলোমেলো না হয়। প্রত্যেকটা কপিতে একটা করে আবেদনকারীর সই দিতে হবে। কৃষক বন্ধু যোজনা আবেদন করতে গেলে এইসব তথ্য গুলি অবশ্য প্রয়োজন রয়েছে।
কৃষক বন্ধু প্রকল্প অনলাইন ফরম
অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে কৃষক বন্ধু ফরম কোথা থেকে পাব এবং কিভাবে পাব? কৃষক বন্ধু ফরম অনলাইন থেকে পাবে না। কৃষক বন্ধু যোজনা এই ফ্রম পেতে হলে আপনাকে স্থানীয় বিডিও অফিস বা আপনার স্থানীয় কৃষি দপ্তরে গিয়ে এই ফরমটি সংগ্রহ করতে পারেন। এই ফ্রম গুলি সাধারণত বছরে দুই বার করে দেওয়া হয়। কিছু বন্ধু আবেদন ফরম গুলি মার্চ মাসি দেওয়া হয় এবং নভেম্বর ডিসেম্বর মাসে পুনরায় দেওয়া হয়। সেই সময় আপনার ফরম ফিলাপ করে সাবমিট করতে পারেন।
কৃষক বন্ধু চেক লিস্ট 2020
কৃষক বন্ধু লিস্ট চেক করার জন্য কোন বিকল্প নেই। এই লিস্ট গুলি সাধারণত কৃষি দপ্তর এবং ভিডিও অফিসের মধ্যে অফিশিয়াল ভাবে থাকে। আপনার যদি ভাবেন কৃষক বন্ধু লিস্ট অনলাইন চেক করবেন তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। কৃষক বন্ধু প্রকল্প নামের লিস্ট 2020 এই লিস্ট পাবলিক দের জন্য নয়। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কৃষক বন্ধু চেক লিস্ট করার জন্য কোন অনলাইন বন্দোবস্ত করা নেই। আপনি যদি একান্ত চেক করতে চান তাহলে বিডিও অফিসে গিয়ে বা আপনারা স্থানীয় অঞ্চলে গিয়ে কৃষক বন্ধু চেক লিস্ট 2020 করতে পারেন।
👉2021 সালে কৃষক বন্ধু 5000 টাকা ব্যাঙ্ক একাউন্ট এ এসেছে কিনা চেক করুন 👈ক্লিক করুন
কৃষক বন্ধু app download
কৃষক বন্ধু প্রকল্প অনেকে বলছেন app পাওয়া যাচ্ছে বা ডাউনলোড করা যাচ্ছে। আমরা এর আগে দেখেছি পশ্চিমবঙ্গের অনেকগুলো যোজনা বেরিয়েছিল সেগুলোর কোন অ্যাপ বেরোয়নি। আপনারা দেখবেন প্লে স্টোরে কৃষক বন্ধু অ্যাপ সার্চ করবেন, সেখানে দেখতে পাবেন অনেকগুলো অ্যাপ পাবেন। এই অ্যাপ গুলো সাধারণত কোনটাই অফিশিয়াল ভাবে তৈরি করা হয়নি। কৃষক বন্ধু অ্যাপ ডাউনলোড করার চেষ্টা করবেন না। এতে কি হয় এসব থার্ড পারসন অ্যাপ আপনার পার্সোনাল ডাটা লিক হতে পারে। এই এগুলো থেকে আপনারা দূরে থাকবেন।
কৃষক বন্ধু death বেনিফিসারী ফর্ম
এই প্রকল্পে কৃষকদের জন্য দারুন আরো একটি সুবিধা দিয়ে রেখেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কোন কৃষকের অকাল মৃত্যু হয়ে গেলে পশ্চিমবঙ্গ সরকার দু লাখ টাকা পর্যন্ত দেবে। তাই পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রত্যেকটি কৃষকের Krishak Bandhu death Benefit Form দিয়ে রেখেছে। কোন কৃষকের অকাল মৃত্যু হলে অতিসত্বর আপনার স্থানীয় পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন। পঞ্চায়েত অফিস থেকে ডেট সার্টিফিকেট নিয়ে আপনারা বিডিও অফিসে গিয়ে Krishak Bandhu death Benefit Form নিয়ে ফিলাপ করে জমা করে দেবেন। এই ফর্মটা জমা করার পর ওই পরিবার লক্ষ টাকা পর্যন্ত পেতে পারে।
কৃষক বন্ধু পেনশন আছে কি:
আপনারা জানেন প্রধানমন্ত্রীর পেনশন যোজনা চালু করেছে কিন্তু আমাদের Krishak Bandhu Pension পশ্চিমবঙ্গ সরকার কৃষকদের জন্য পেনশন চালু করেনি। তাই কৃষক বন্ধু দের এরকম কোন যোজনা আপাতত জানা যায়নি।
আপনাদের জানলেন কৃষক বন্ধ প্রকল্পের যাবতীয় তথ্য।সত্যি কি আপনারা Krishak Bandhu cheque List করতে পারবে তাও পুরোপুরি জানতে পারলেন। এই আর্টিকেলটি দেখে আপনারা অতি সহজে কিভাবে Krishak Bandhu form Fillup ফরম ফিলাপ করতে পারবেন। কৃষক বন্ধু প্রকল্পের খুঁটিনাটি অন্যান্য ব্যাপারগুলো রয়েছে এই আর্টিকেলে অনেকটা তুলে ধরেছি। আশা করি আপনাদের কাছে কৃষক প্রকল্প টি অজানা ছিল এটা পড়ে আপনাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে। কৃষক বন্ধু প্রকল্প সম্বন্ধে আপনাদের কাছে কোন প্রশ্ন থাকলে আপনারা কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন এবং আমাদের ছোট্ট সাইটটিতে সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন যাতে পরবর্তী আপডেট আপনাদের কাছে তাড়াতাড়ি পৌঁছে যায়। পারলে দয়া করে আমার এই আর্টিকেলটি আপনার বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন। বুঝতে পারে এবং জানতে পারি এই ছোট্ট ছোট্ট তথ্যগুলি। অনেক গরিব মানুষ আছে যারা এসব তথ্য গুলি জানেনা। তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া টা অত্যন্ত দরকার রয়েছে।
রেশন কার্ড আধার লিংক করতে এখানে ক্লিক করুন
9 মন্তব্য(গুলি)
Click here for মন্তব্য(গুলি)আমি কৃশক বন্ধু ফর্ম ফিলাপ করেছিলাম কিন্তু কোনো সাহায্য পাই নি
Replyআমাদের ডোমকল অফিস গেলে কোন সঠিক তথ্য দেয়না, শুধু হয়রানি করে
ReplyNeuformfelip
Replyআমি আগে পূরাতন ভোটার কার্ডের নম্বর বসিয়ে ফরম ফিলাপ করেছিলাম । পরে ঐ ভোটার কার্ডে কিছু ভূল থাকায় ভূল সংশোধন করি। কিছুদিন পরে নূতন ভোটার কার্ড এসেছে এবং পূরাতন ভোটার কার্ড ফেরত চলে গেছে। এখন আমার একাউন্টে টাকা ঢুকেনি।এখন আমি কি করব দয়া করে জানাবেন।
ReplyAi form Panchayat thaka neoa uchit
Replyকৃষক বন্ধু লিষ্ট দেখতে নানা ধরনের বাজে
Replyঅপশন বন্ধ করে একটু সরল ভাবে দেখান
আমার অনেক অনুরোধ
Kishore Bondhu new name list 2021
ReplyUttam Kumar giri
Replyডোমকল গিয়েশুধু হয়রানি করবে
ReplyConversionConversion EmoticonEmoticon