করুনার জন্য কাদের বেশি ক্ষতি হচ্ছে ? Who is doing more harm to corona?

করুনার জন্য কাদের বেশি ক্ষতি হচ্ছে - আপনি কি জানেন বা এই করুণা ভাইরাসটি কাদের জন্য ভারতে এসেছে। এর জন্য সাধারণ মানুষের India corona virus কতটা ক্ষতি হচ্ছে আপনারা জানলে অবাক হয়ে যাবেন।
Who is doing more harm to  corona
Who is doing more harm to  corona

Who is doing more harm to Karuna?
  ভারতের কিছু কিছু রাজ্যে যে শ্রমিকরা পয়সার জন্য অন্য রাজ্যে গিয়ে কাজ করছে সেসব শ্রমিকরা কেন বা রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছে বা ঘর যাওয়ার জন্য কেন তারা উতলা হচ্ছে। সম্পূর্ণ দায়ী টাকি সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জন্য না বড় লোকেদের  স্ট্যাটাস মেনটেন এর জন্য এই Corona virus ভারতে এসে থাবা বসিয়েছে।
Lockdown 
 আমরা যদি লক ডাউন এর প্রথম দিকটা দেখি, দিল্লি থেকে হাজার হাজার রোজ খেটে খাওয়া মানুষ পায়ে হেঁটে বাড়ি যাওয়ার জন্য রাস্তায় নামতে।  আনন্দ বিহার রেল স্টেশনে হাজার হাজার মানুষ একত্রিত হয়ে পড়েছিল। এখানে কিন্তু সরকার সম্পূর্ণভাবে নাকাম হয়েছিল তাই ওই এলাকায় অতিরিক্ত পরিমাণে  বাসে করে যে যার জায়গায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। ওইখানে কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণের ইউপি  বিহারের মানুষরা তারা বাড়ি যেতে পেরেছিল।

 তারপর  যদি দেখি কেরালায় হাজার হাজার বাঙালি রাস্তায় নেমে তারা বাড়ি যাবার জন্য  বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।  তাদের একটাই দাবি ছিল, যে তারা বাড়ি ফিরবে এবং তাদের জন্য একটা স্পেশাল ট্রেন ছাড়ার জন্য আবেদন করে কিন্তু সেখান থেকে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়। যে যার নিজের জায়গায় চলে যায়।

 শুধু এখানেই শেষ নয়। তার কিছুদিন পরে  সুরাটে ও এইরকম একটা ভয়ঙ্কর জমায়েত হয়েছিল সেই সুরাটের মানুষরা সরকারের কাছে একটাই অনুরোধ করা হয়েছিল যে তাদের বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করা হোক, না হলে আমরা হেঁটে বাড়ি ফিরে যাব। তারপর দেখতে দেখতে ওখানে ভয়ঙ্কর  স্থিতি পরিণত হয় রাস্তায় টায়ার জ্বালা হয় এবং প্রতিবাদে ফেটে পড়ে সুরাট ওই এলাকায়। বড় বড় কল কারখানা বন্ধ হওয়ার কারণে সাধারণ মানুষেরা ঠিকভাবে  খাওয়ার  পাচ্ছিল না। তাই তারা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদী করে।
 
গত 14 তারিখে প্রধানমন্ত্রী যখন লকডাউন বাড়ানোর কথা ঘোষণা কর,  তখন মহারাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সিটি বোম্বে সেই বোম্বের বান্দ্রা স্টেশনে দুপুর থেকে মানুষের আসা শুরু হয়। আস্তে আস্তে মানুষেরা ওখানে একটা বড় জমায়েত সৃষ্টি করা হয়। corona update এখানে মানুষের কিন্তু একটাই অনুরোধ ছিল যে আমরা এখানে ঠিকভাবে খেতে পাচ্ছি না তাই আমাদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হোক।  আবার কেউ বলছে আমাদের যদি খাওয়া-দাওয়ার না ঠিকভাবে ব্যবস্থা করে দেয়া হয় তাহলে আমরা না খেতে পেয়ে মারা যাব।  কিন্তু আমাদে বাড়ি যেতে দাও না হলে আমাদের সম্পূর্ণ খাওয়া-দাওয়ার দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।   এখানে মানুষেরা  corona new update ভয়ঙ্কর একটা জমায়েত সৃষ্টি হয়। এবং এখানে পুলিশরা লাঠিচার্জ করে তাদের যেখানে তারা কাজ করে তাদের সেখানে পাঠানো হয়েছে এবং খাওয়া-দাওয়ার দায়িত্ব তারা সম্পূর্ণ নিবে বলে জানিয়েছে। তো এইটা কতদিন চলে বা তারা কতদিন খাওয়া-দাওয়ার দায়িত্ব নিতে পারে সেটাই দেখার বিষয় রয়েছে এখন।

 এখানে একটা ভাবার বিষয় রয়েছে, কারণ  ভারতের লোকেরা যারা বাইরে দেশে গিয়ে কেউ পড়াশোনা সূত্র, কেউবা চাকরির সূত্রে বাইরে ছিল তাদের আনার জন্য ঘটা করে  স্পেশাল বিমান পাঠিয়ে তাদের ভারতে নিয়ে আসা হয়েছে এবং তার সঙ্গে আসে করুণা ভাইরাস।  তখনো কিন্তু ভারতের ঠিকভাবে স্ক্রীনিং এবং  তাদের মধ্যে কোন ভাইরাস আছে কিনা ঠিক করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়নি। তার মাশুল গুনতে হচ্ছে গরিব  খেটে খাওয়া মানুষদের। 

 একটু ভাবুন ভারতের 80% মানুষ করুণায় আক্রান্ত হয়েছে যারা বাইরের দেশ থেকে এসেছে।  তার পরিবার এবং তার সংস্পর্শে আসা সব মানুষেরা বলতে গেলে এই রোগটি  বড় বড় সোসাইটি মানুষেরা ভারতে এসে ছড়িয়েছে। এর মাশুল গুনতে হচ্ছে গরিব পরিবারদের। গত  18 এপ্রিল হইতে 24 এপ্রিল পর্যন্ত বহু মানুষ ট্রেনে ট্রাভেল করেছিল তাদের দেখা গিয়েছে 2 থেকে 3 পারসেন্ট মানুষ করুণা আক্রান্ত হয়েছে কিন্তু যারা আন্য দেশ থেকে এসেছে তাদের মধ্যে 80% মানুষের   করোনা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। তাদের বাড়ি ফেরানোর জন্য স্পেশাল বিমান পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু আমরা ভারতের বাস করি।
 ভারতের অন্য রাজ্য থেকে ফিরতে পাচ্ছিনা নিজের বাড়িতে। বড় লোকেদের জন্য সাধারণ গরিব মানুষেরা অসহায়  ভাবে নির্যাতন হচ্ছে। এখনো কিন্তু ভারতের কাছে অনেকটা টাইম রয়েছে যদি কোন স্পেশাল ট্রেন ছাড়া হয় তাহলে অনেক মানুষেরা বাড়ি ফিরতে পারবে ।এর জন্য সাধারণ মানুষেরা সরকারী অনুযায়ী করেন্টিন করে তা রাখতে পারে।  গরিব মানুষের একটাই কথা, তারা মরতে হলে নিজের জেলায় কিংবা নিজে রাজ্যতে মরবে কিন্তু এভাবে বাইরে পড়ে থাকতে নারাজ। এটাই সাধারণ মানুষের দাবি।  এই লক ডাউন প্রক্রিয়া আরো খারাপ হতে চলেছে। যদি 3 তারিখের পর আরো  লকডাউনের মেয়াদ  বাড়ানো হয়, তাহলে গরীব মানুষেরা ফেটে পড়বে। তার আগাম বার্তা  পেয়ে গেছে ভারত সরকার। এই  লকডাউন শেষ হওয়ার পর ট্রেন পরিষেবা যদি না চালু করে তাহলে একটা বড় আন্দোলনের সৃষ্টি হতে পারে । সাধারণ গরিব যারা অন্য রাজ্যে এসে আটকে পড়ে আছে।  এরপরে  লকডাউন রাখার আগে গরিব-দুঃখীদের বাড়িতে ফেরানোর উপায় যেন সরকার থেকে  কিছু করে। না করলে একটা বড় আন্দোলনের সৃষ্টি হতে পারে।
Previous
Next Post »