Ssc scam West Bengal | আপার প্রাইমারি গ্রুপ ডি দুর্নীতি

 আপনি কি জানেন Staff Selection Commission কি বা পশ্চিমবঙ্গে আপার প্রাইমারি গ্রুপ ডি দুর্নীতি কিভাবে হয়েছে? আজকে আমরা আলোচনা করব পশ্চিমবঙ্গে "Ssc scam West Bengal" কিভাবে হয়েছে, প্রভাব কতদূর পর্যন্ত পড়তে পারে, জড়িত ব্যক্তিরা পরবর্তীকালে কি হবে তার সমস্ত তথ্য জানতে পারবেন।

পশ্চিমবঙ্গে আপার প্রাইমারি Group D পদে নিযুক্ত হয়েছে অনেক ব্যক্তি Staff Selection Commission হাত ধরে। অনেক Ssc ছাত্র-ছাত্রী যারা উত্তীর্ণ হয়েছিল এই পরীক্ষার মাধ্যমে অনেক ভাল রেঙ্ক নিয়ে। কিন্তু দেখা গিয়েছে যারা প্রথম সারিতে নাম রয়েছে তাদের নিয়োগ না করে Ssc রেজাল্টের Group D পদে নিযুক্ত হয়েছে নিচের সারির অনেক পরীক্ষার্থী। এই নিয়ে কোর্টের অনেক মামলা হয়। শেষ পর্যন্ত গত কয়েকদিন আগে 25 জনের নামের তালিকা কোর্টে দাখিল করা হয় এবং এই 25 নিযুক্ত হওয়া শিক্ষকদের বেতন বন্ধ করার নির্দেশ দেয়।

 আরো জানা যায় এইভাবে আরও আড়াই থেকে তিন হাজার শিক্ষক রয়েছে যারা নিচের শাড়িতে থেকেও গ্রুপ ডি পদে নিযুক্ত হয়েছে এবং তাদের একই ধারায় মামলা করা হয়েছে।

Ssc scam West Bengal

স্টাফ সিলেকশন কমিশন কি?

পশ্চিমবঙ্গের Ssc পরীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচিত হন অনেক শিক্ষক শিক্ষিকা। এস পরীক্ষার মাধ্যমে যারা পাস করে তাদের নাম্বার অনুযায়ী তালিকা প্রকাশিত হয় এবং এর তালিকা অনুযায়ী Staff Selection Commission মাধ্যমে নির্বাচিত হন  শিক্ষক নিয়োগের কাজ।

প্রাইমারি গ্রুপ ডি দুর্নীতি 

 আপনি নিশ্চয়ই হয়তো জানেন 2013 থেকে  2016 পর্যন্ত অনেক শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে upper primary Group-D পদে এবং এসএসসির পরীক্ষার মাধ্যমে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায় কিন্তু দেখা গিয়েছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে Ssc scam ঘটিয়েছে বলে জানা যায়। Ssc scam মাধ্যমে প্রত্যেক ক্যান্ডিডেটদের কাছ থেকে ভাল অঙ্কের টাকা নিয়ে চাকরিতে নিয়োগ করা হয়েছে। আরো জানা যায় একজনের একজনের কাছ থেকে 8 লক্ষ থেকে 12 লক্ষ পর্যন্ত টাকা নেওয়া হয়েছে নিয়োগের ক্ষেত্রে।

Ssc scam এর প্রভাব 

গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ শিক্ষক শিক্ষিকা ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়তে শুরু করে দিয়েছে 2021 এ এসে। প্রথম  শারীর Ssc group-D  জন্য পরীক্ষা দিয়েছিল  এমন কিছু  স্টুডেন্টরা একটা মামলা করে হাইকোর্টে দুর্নীতির জন্য। এই মামলা কতদিন চলার পর হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এর প্রভাব যারা Ssc scam করে নিযুক্ত হওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকা কিভাবে চাকরি পেল, কিভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে, কার কাছে ঘুষ দিয়ে এই পদে নিযুক্ত হয়েছে তা খতিয়ে যাকে বলে জানা যায়।

জড়িত ব্যক্তিরা পরবর্তীকালে কি হবে?

 সিবিআই তদন্তের মাধ্যমে স্ক্যাম জড়িত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বা নিযুক্ত হওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ঘুরে Ssc পরীক্ষায়  বসার সম্ভাবনা হতে পারে। অলরেডি পঁচিশ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী।

Ssc scam West Bengal রাজনীতি অবদান কি?

এসএসসির স্ক্যাম নিয়ে অলরেডি রাজনীতি শুরু হয়ে গেছে পশ্চিমবঙ্গ জনসাধারণের মধ্যে। আমাদের পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে যেকোন বিষয় নিয়ে রাজনীতি করাটা একটা কালচার হয়ে গেছে বলে অনেকে মনে এবং এই রাজনীতি উভয়পক্ষকে দোষারোপ করতে থাকে। শুধু Ssc scam নয়সবক্ষেত্রে রাজনীতি জড়িত থাকে। অনেক রাজনীতিক বিশ্লেষকদের মতে  এসএসসি স্ক্যাম এর মধ্যে রাজনৈতিক দল এদের অন্যতম যোগদান বলে মনে করে। প্রতিপক্ষ দল গুলি যুক্তিকে অন্ধের মত সাপোর্ট করেন। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি আমাদের পশ্চিমবঙ্গে একটা কালচার হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে সমস্ত পরিবারের টাকা রয়েছে তারা ঘুষ দিয়ে খুব সহজে চাকরি পেয়ে যায় এবং গরিব পরিবারের ছাত্রছাত্রীরা টাকা না থাকার কারণে  পড়ে পড়ে মার খায় অনেক মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী।

যে যাই বলুক Ssc scam West Bengal এর মধ্যে বন্ধ করাটা অবশ্যই দরকার রয়েছে, এটা একমাত্র পারে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক দল। এই  এসএসসি   স্ক্যাম পরবর্তী দিনে কিভাবে আকার ধারণ করে এটা এখন থেকেই বোঝা যায়। আশা করি পরবর্তী দিনে সরকারের কাছে বন্ধ হবে সবাই আশা বাদী।

Ssc scam দালাল দের ভূমিকা ?

  এই স্ক্যামের মধ্যে দালালদের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে জানা যায় এবং এইসব দালালরা বড় বড় সরকারি অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ হয়ে থাকে বলে একাংশের দাবি। এইসব দালালরা এসএসসি পরীক্ষা থেকে শুরু করে অ্যাপয়নমেন্ট পর্যন্ত সবকিছু নকল করে চাকরি করে দিতে পারে। পশ্চিমবঙ্গে অনেকই শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছে তাদের জায়গায় অন্য কেউ পরীক্ষা দিয়েছে এবং পাস করে শিক্ষকের কাজ করছে। এইসব দালালরা প্রত্যেকটি চাকরির  ক্ষেত্রে 8 থেকে 10 লাখ টাকা পর্যন্ত চার্জ করে এই দুই নম্বরি স্ক্যাম করার জন্য।

Previous
Next Post »